হারিয়ে যাওয়ার ভীষণ ইচ্ছে ছিলো।
হারিয়ে যাবার বিদায়ে কি নিদারুণ একটা গল্প রচনা তিলে তিলে উপন্যাস হয়ে যাচ্ছে। অনেক গুলো মানুষ হারিয়ে যাবে একজোটে। ফিরে এসে দেখা যাবে এখানে আর কেউ কবিতা পড়েনা। কেউ আসেনা দিনশেষের গল্প নিয়ে। সব ভীষণ স্বাভাবিক। আচ্ছা মানুষ কি মনে করে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া মানুষদের ?
ফিরে আসা হবে কিনা কে জানে। শুনেছি মায়া নাকি বিদায়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কি আর করার।
হারাতে হারাতে ক্লান্ত পথিক ও একদিন নিজেই হারিয়ে যায়। এটাই নিয়ম। সেদিন আর আটকে রাখার কেউ এসে হাত চেপে ধরার থাকেনা।
একটা অদ্ভুত ব্যপার কি যানেন? মানুষের প্রতি মানুষের যেমন মায়া ধরে যায়, তেমনি নিদৃষ্ট যায়গার প্রতিও একটা টান অজান্তেই জন্ম নেয় হৃদয় কপাটে। মানুষের মায়ার চেয়ে যায়গার টান বেশি কষ্ট দেয়। মানুষ তো বদলে যায়, কিন্তু কোনো যায়গা মানুষের মতো দ্রুত বদলায় না। হুট করে একদিন এসে দেখা যায় পুরোনো বটগাছ টা এখনো ঠায় মাথা উচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, মোড়ের ধারের টি-স্টল টা কিছুটা বদলেছে তবে ঠিকঠাক যায়গাতেই আছে, অলিগলি চেনা শহর সবটাই সেই পুরোনো, কবরখানা মোড় টা একই থাকবে শুধু কেউ আর অপেক্ষায় দাঁড়াবে না। লাভ রোডের উপর হুট করেই গানের আসরে কবিতার মতো উটকো বিষাদগুলো ভীষণ মায়া নিয়ে পড়া হবে না। স্টেডিয়াম রোড টা আবার কবে দেখতে পাবো যানা নেই। বুকের ভিতরে চিন চিন করে একটা ব্যাথা যেগে উঠবে সেদিন। এভাবেই বাড়তে বাড়তে সে ব্যাথাটা রাজত্ব গড়ে তুলবে হৃদয় জুড়ে। এরপর একদিন হুট করে স্ট্রোক হয়ে ধরা দিবে। সেদিন হয়তো স্মৃতির মতো সে মানুষ গুলো থাকবে না, থাকবে না সেই সম্পর্ক গুলো, কি ভীষণ মায়ায় ঘেরা। হাতে হাত রেখে মৃত্যু অব্দি থেকে যাবে বলে কথা দেয়া মানুষ গুলো নির্মম ভাবে ভুলে যাবে সব।
Post a Comment