সন্ধ্যে নামার কাব্য

 







এই রঙিন পৃথিবীতে অর্থহীন, অপাংক্তেয় সন্ধ্যা নামে।
আতসবাজি পুড়িয়েও আনন্দের আড়ালে ঢাকা যায় না এসব অর্থহীন বেঁচে থাকার মানবেতর ক্লান্তি।
আনন্দ? হ্যাঁ, এখনো ছোঁয়াচে অসুখের মতো ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় সেভাবেই,
যেভাবে আগে যেত। তবু আগের মতো নেই আর কিছু!
আমিও আর কেউ নই, তোমাদের উদ্ভাসিত মিথ্যাচারের লোকসভায় আমার আর কোনো ভূমিকা নেই।

আমি বেঁচে আছি আশায় আশায়,
উত্তরাধিকারে মায়ের কাছ থেকে পাব বলে সবুজ জায়নামাজ, সাদা তাসবীহ!
ভুলে যেতে চাই সব সংশয়, মানুষের অবিশ্বাসকে আমি আর বিশ্বাস করতে চাই না!

কেতাবি পৃথিবীতে আমি আরেকবার খুব করে নিরক্ষর হতে চাই।
সরল, নিখাদ, অনঘ - শুভ্র মেঘের মতো রোদের গায়ে পড়ে গলে যেতে যেতে বলে যাই,
"হে আত্মার কারিগর, উদ্ভাসিত করুন ধৈর্য্য আর অন্তরাত্মা যা জেনেছে সেই জ্ঞানের আলোয়।"

আর কোনো যত্নের মোহ নেই, নির্লোভ হয়ে যাই, যশ-খ্যাতি-মান-কড়ি আর কাঙ্ক্ষিত সুপুরুষ
যা যা বেঁধে রাখতে পারে মধ্যদুপুরের ব্যস্ত পৃথিবীতে,
তার আর কিছুই বাঁধে না। তার সুগঠিত কাঁধ, বিন্যস্ত চুল, গণ্ড বেয়ে নামা কাকপক্ষ কিছুই আর টানে না,
কালিজিরার সুবাস ছড়ানো ফিরে যাওয়া গোধূলির পর নিকষকালো রাত নামে।

4 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post