শহরের ঈশ্বর



৫৬৬ রাত জেগে ঘুমালাম অ্যাকুরিয়ামে জড়ানো শহরের ঘুম,

অ্যালডিহাইড মাখানো গ্লাসের ঘুম,পাপীদের বিবেকের বার্ধক্যজনিত ঘুম,আমাদের লোভী আত্মার ভ্রম।


শহরের ঈশ্বর আমাকে বলেছেন_ঘুমাও,বাঁচতে চাইলে ঘুমাও,

তারা জানে কিশোরীর বাল্যবিবাহের মোরগ কোরমা আমাকে ঘুমাতে দেয় না,ধর্ষিত  আর্তনাদের স্বর,ফিনকে পড়া রক্তের নূপুর,চরিত্রহীনা নারীর বক্ষের জাতীয় পতাকার শা-শা শব্দ আমার ঘুমকে নষ্ট করে,

তাই শহরের ঈশ্বর ইশারায় বলেছে, ঐ বইয়ের দোকানের শোরুমের এলকোহল,নিকোটিন

ওয়াইন বোতল তোর_খা শরীরে মাখ, তবু ঘুমা নিশ্চুপ বিভোর।


গভর্নরের স্বাক্ষর যুক্ত কয়েকটি পবিত্র পাতা আমার পকেটে ভরে দিয়ে বলেছে ঘুমা,অভিনয় করে অ্যাকুরিয়ামের শহরে একটু ঘুমালাম।

দেখলাম আতরের দোকোনে নিষিদ্ধ দব্য বিক্রি হয়।অনাহারীর প্লেট থেকে হাড় তুলে নিয়ে কুকুরে চেটে খায়।শহরের উদ্যানে একদল শূকর ডালিয়া এলোভেরা লোটাস খায়।


আমি একধাপ দিয়ে এগিয়ে আসতেই শহরের ঈশ্বর বললেন, তুমি ঘুমিয়ে, ঘুমের অভিনয়ে কিসমিস খাও!

আমি ঘুমালাম অনন্ত শুয়ে থাকলাম বিবেকের বার্ধক্যজনিত শান্ত ঘুম;

ব্যাকটেরিয়া জরানো,নিজের ব্যার্থ জম্মের ভ্রম।


আমার মত অনেকে ঘুমিয়ে আছে, পরিচয় হল আমাদের, একে একে সংখ্যায় বৃদ্ধি পেলাম,শহরের ঈশ্বর কে বলে শহরটা উপহার নিলাম,বিনিময়ে তিনি অবশ্য আমাদের বিবেক,বাকস্বাধীনতা ধার নিলেন।তারপর থেকে শহরের শান্তির বসবাস ঘুম চলছে আমাদের, শহরের ঈশ্বরের কৃপায়..!

Post a Comment

Previous Post Next Post