জুডাইজম, ক্রিশ্চানিটি আর ইসলাম ー আধুনিক পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী তিনটে ধর্মকে বুঝতে হলে আপনাকে যেতে হবে একেবারে এদের সূচনালগ্নে - যখন তিন ধর্মেরই আদি পিতা আব্রাহাম বা ইবরাহিমের জন্ম হয়েছিল।
সময়টা আজ থেকে মোটামুটি চার হাজার বছর আগে। সুমেরীয় সাম্রাজ্য তখন তার সুদীর্ঘ জীবনের সমস্ত ক্লান্তি চেহারায় ফুটিয়ে তুলে অমোঘ মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেসোপটেমিয়াকে ঘিরে বিভিন্ন জাতির মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ক্ষমতার লড়াই - টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মাঝামাঝি এই উর্বর অঞ্চল যেকোনো জাতির জন্যেই স্বপ্নের আবাসস্থল।
আজকে আমরা যে শহরটাকে বাগদাদ নামে চিনি, সেখান থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ছিল উর শহরের অবস্থান। ওখানেই জন্ম নেন আব্রাহাম - মুসলমানরা যাকে ইবরাহিম নামে ডাকে।
আব্রাহামের জন্মের সময়ে পৃথিবীতে সেরকম অর্গানাইজড রিলিজিয়ন খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একেক এলাকায় একেক রীতিনীতির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তবে মোটা দাগে পুরো পৃথিবীর মানুষই পলিথিজম বা বহু-ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী ছিল। মেসোপটেমিয়া, মিশর আর সিন্ধু উপত্যকা - সে সময়ের সবচেয়ে উন্নত তিনটে এলাকাতেই উপাসনা করা হতো অসংখ্য পৌরাণিক দেবদেবীর। আব্রাহামের পরিবারের সবাই কোনো না কোনো দেবতার পূজো করতো।
আব্রাহাম কিন্তু পারিবারিক রীতিনীতিকে গ্রহণ করলেন না। তার মনে হলো, প্রচলিত দেবতারা কেউই নিখুঁত না - সবারই কোনো না কোনো সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু ঈশ্বরের তো সব রকম দুর্বলতার উর্ধ্বে থাকার কথা ছিল। যে দেবতাকে মানুষের মতো খেতে দিতে হয়, পরতে দিতে হয় - যে দেবতা মানুষের মতোই আরেকজনের সাথে যুদ্ধ করে আহত হয় - যে দেবতা মানুষের মতোই যৌনতায় লিপ্ত হয়, সন্তান জন্ম দেয় - সে দেবতা কেমন করে সর্বশক্তিমান হলো? কাজেই এরা কেউই সত্যিকার ঈশ্বর না। ঈশ্বর আসলে অন্য কেউ - যার সাথে তুলনা করার মতো কিছুই এই বিশ্বচরাচরে থাকবে না।
এক ও অদ্বিতীয় সেই ঈশ্বরের খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন আব্রাহাম। এভাবেই তিনি মনোনীত হন ঈশ্বরের একজন বার্তাবাহক - মেসেঞ্জার অব গড হিসেবে। ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমান - তিন ধর্মের মানুষের কাছেই আব্রাহাম হলেন একজন নবি বা প্রফেট - যাকে আল্লাহ নির্বাচন করেছেন মানুষের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে।
নবি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আব্রাহাম তার নতুন ধর্ম প্রচার করতে শুরু করলেন। যদিও আমি 'নতুন' শব্দটা ব্যবহার করছি - আব্রাহাম কিন্তু দাবি করলেন যে এটা নতুন কোনো ধর্ম না। এটা সেই ধর্ম যা আদি নর অ্যাডাম ও আদি নারী ইভকে আল্লাহ শিখিয়েছিলেন। এই ধর্মের মূল কথা হচ্ছে - ঈশ্বর একজনই, তার ধারেকাছেও কেউ নেই। তিনিই এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন, তিনিই এর প্রতিপালন করছেন আর তিনিই একসময় সব কিছু ধ্বংস করে দেবেন। মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তিনি পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন কেবল তার দাসত্ব করার জন্যেই। যারা তাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে মেনে নেবে এবং তার কথা মতো চলবে, তাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে আছে জান্নাত। আর তাকে অমান্য করে অন্য কারো উপাসনা করলে তাকে জাহান্নামের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
মনোথিজম বা একেশ্বরবাদের এই নতুন ধারণা তিনি প্রচার করতে শুরু করলেন নিজের শহরে। স্বাভাবিক ভাবেই, বহু দেবদেবীর উপাসনায় অভ্যস্ত শহরবাসী ব্যাপারটাকে সহজ ভাবে মেনে নিলো না। আব্রাহামের ওপর নেমে এলো অত্যাচারের খড়গ। বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হলো তাকে। তবে প্রতিবারই মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হন তিনি। বাইবেল এবং কোরানে এসব ঘটনাকে দেখানো হয়েছে আব্রাহামের প্রতি আল্লাহর অলৌকিক সাহায্য হিসেবে।
আব্রাহাম তার একেশ্বরবাদী ধর্ম প্রচার করেছিলেন মেসোপটেমিয়া এবং কেনানে - আজকের দিনে যেসব অঞ্চলকে আমরা ইরাক এবং ফিলিস্তিন নামে চিনি। আব্রাহাম সমগ্র মানবজাতির কাছে নবি হিসেবে এসেছিলেন - তার ধর্ম কোনো বিশেষ ভূখণ্ড বা বিশেষ জাতির জন্য নির্দিষ্ট ছিল না।
আব্রাহামের স্ত্রী সারা ছিলেন বন্ধ্যা। কাজেই বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। প্রাচীন পৃথিবীতে নিঃসন্তান থাকার মতো হতাশার ব্যাপার আর হতেই পারতো না। তিনিও চিন্তিত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর কে এই ধর্মের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে?
এই চিন্তা থেকে মুক্ত করতেই সারা তাকে পরামর্শ দিলেন, তিনি যেন তার মিশরীয় দাসী হাজেরাকে বিয়ে করেন। আব্রাহাম তাই করলেন। হাজেরার গর্ভে তার বড় ছেলে ইসমায়েলের জন্ম হলো।
মজার ব্যাপার হচ্ছে - ইসমায়েলের বয়স যখন ১৪ বছর, তখন আব্রাহামের বন্ধ্যা স্ত্রী সারা গর্ভবতী হন। তার গর্ভে জন্ম হয় তার ছোট ছেলে ইসহাক বা আইজ্যাকের।
পরবর্তীতে আব্রাহামের দুই ছেলেই নবির মর্যাদা লাভ করেন।
আইজ্যাকের জন্মের পর আল্লাহর নির্দেশে (কিংবা, বাইবেলের বর্ণনা মোতাবেক, সারার পীড়াপীড়িতে অতিষ্ঠ হয়ে) আব্রাহাম তার প্রথম সন্তান ইসমায়েল আর স্ত্রী হাজেরাকে আরব উপদ্বীপে পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি নিজেই তাদের নিয়ে হেজায অঞ্চলে রেখে আসেন - আজকে আমরা সে জায়গাটাকে মক্কা নামে চিনি।
আব্রাহামের রেখে যাওয়া সামান্য খাবার আর পানি জলদিই ফুরিয়ে গেল। তৃষ্ণায় কাতর হয়ে ইসমাইল কান্না শুরু করলেন। হাজেরা তখন অস্থির হয়ে পানির সন্ধানে সাফা এবং মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে ছোটাছুটি করতে থাকেন। একবার সাফায় ছুটে যাচ্ছেন, তো আরেকবার মারওয়ায়। এভাবে পাহাড় দুটোর মাঝখানে মোট সাতবার দৌড়াদৌড়ি করতে হয় তাকে।
হঠাৎ ইসমায়েলের কান্না থেমে যায়। আতঙ্কিত হাজেরা ছেলের কাছে ফিরে এসে দেখতে পান - তার পায়ের আঘাতে মরুভূমির বড় একটা পাথরখণ্ড সরে গিয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে মিষ্টি পানির ধারা!
আরবের তপ্ত মরুভূমি। মাইলের পর মাইল কেবল ধু ধু বালুচর - কোথাও পানির অস্তিত্ব নেই। হুটহাট কোনো জায়গায় পানি পাওয়া গেলে মরুভূমির পাখিরা তার আশেপাশে চক্কর কাটতে থাকে। দূর থেকে পাখিদের ওড়াউড়ি দেখে এগিয়ে আসে বেদুইন কাফেলা। বসত স্থাপন করে পানির উৎসের কাছে।
এখানেও ঠিক তাই হলো। সেই পানির উৎসকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলো নতুন নতুন বসতি। কূপ খনন করে বাঁধানো হলো। কূপের নাম রাখা হলো - জমজম কূপ।
ইসমায়েলের গল্প আপাতত থাক। আমরা বরং আব্রাহামের ছোট ছেলে আইজ্যাকের দিকে মনোযোগ দেই। বাবার সাথে সাথে থেকে আইজ্যাক বড় হয়ে উঠতে লাগলেন। বাবার মৃত্যুর পর তিনিই তার স্থলাভিষিক্ত হলেন - আব্রাহামের ধর্ম প্রচার করার দায়িত্ব পড়লো আইজ্যাকের কাঁধে।
আইজ্যাকের দুই ছেলে - ইসাউ এবং ইয়াকুব (জ্যাকব)। ইয়াকুবের আরেক নাম হচ্ছে ইসরায়েল। আইজ্যাকের মৃত্যুর পর তার ছোট ছেলে জ্যাকব বা ইসরায়েল নবি হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন।
এই ইসরায়েলের বংশধরেরাই ইতিহাসে পরিচিত হন বনি ইসরায়েল নামে। বনি ইসরায়েল শব্দের অর্থ হচ্ছে ইসরায়েলের সন্তান। আমরা আজকে যাদের ইসরায়েলি কিংবা ইহুদি বলি - তারাই সেই বনি ইসরায়েল। অর্থাৎ ইহুদিরা মূলত আব্রাহামের নাতি ইসরায়েলের বংশধর।
ইসরায়েলের মোট বারো জন ছেলে ছিল। তার বারো ছেলের থেকে বনি ইসরায়েলের বারোটি গোত্রের উদ্ভব হয়। পরবর্তীতে অবশ্য দশটি গোত্রই হারিয়ে যায় - অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সম্ভবত। এরা লস্ট ট্রাইবস অব ইসরায়েল নামে পরিচিত। রক্তের বিশুদ্ধতা রক্ষা করতে পেরেছিল কেবল দুটো গোত্র - বনু জুদাহ আর বনু বেঞ্জামিন।
বনি ইসরায়েল বংশে অসংখ্য নবীর জন্ম হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বিদ্রোহী জাতি হিসেবে খ্যাতি আছে ইসরায়েলিদের। বারবার তারা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেছে, আর বারবার আল্লাহ তাদের সংশোধন করতে নবি পাঠিয়েছেন। এই বংশেই জন্ম হয় ইহুদিদের প্রধানতম নবি মুসা (Moses) এবং খ্রিস্টানদের বিশ্বাস মোতাবেক ঈশ্বরপুত্র যিশুখ্রিস্টের (Jesus)। খ্রিস্টধর্ম মূলত ইহুদি ধর্মেরই এক্সটেনশন হিসেবে শুরু হয়েছিল - যিশুখ্রিস্ট নিজেও ইহুদি ছিলেন। সোজা কথায় - ইহুদি ধর্ম সংস্কার করতেই যিশুখ্রিস্টকে (মুসলমানরা তাকে ঈসা নামে ডাকে) আল্লাহ নবি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
ইসমায়েলের গল্পটা শেষ করা হয়নি। বাবা আব্রাহাম এবং ভাই আইজ্যাকের মতো ইসমায়েলও কিন্তু নবি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাপ-ছেলে মিলে আল্লাহর নির্দেশে মক্কায় তারা কাবাঘর নির্মাণ করেন। যে পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে আব্রাহাম কাবার নির্মাণকাজ তদারকি করতেন সেটা আজও মক্কায় সংরক্ষিত আছে 'মাকামে ইবরাহিম' নামে।
কাবাঘর আর জমজম কূপকে কেন্দ্র করে আরব উপদ্বীপের এই অনুর্বর মরু অঞ্চলে জনবসতি গড়ে ওঠে। প্রাপ্তবয়স্ক ইসমায়েল বিয়ে করেন - তার ঔরসে মোট বারো ছেলে আর এক মেয়ের জন্ম হয়। ইসমায়েলের বারো ছেলে থেকেই আরবদের প্রাচীন বারোটি গোত্রের উদ্ভব ঘটে। সোজা কথায় - আরবরা মূলত ইসমায়েলের বংশধর। এজন্য আরবদেরকে বলা হয় বনি ইসমায়েল বা ইসমায়েলের সন্তান।
ইসমায়েলের বংশে একজন নবিই এসেছিলেন - মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ - যাকে মুসলমানরা সর্বশেষ নবি হিসেবে বিশ্বাস করে। তার মৃত্যুর সাথে সাথে নবুয়তের সিলসিলা খতম হয়ে যায়, এরপর আর কোনোদিনও কোনো নবি আসবেন না।
মুহাম্মাদ কিন্তু নতুন কিছু প্রচার করেননি। তিনি তাই প্রচার করেছেন - যা করেছিলেন আব্রাহাম, ইসমায়েল ও আইজ্যাক, ইসরায়েল ও জ্যাকব, মুসা এবং যিশু। সেই এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বরের দিকে তিনি আহ্বান করেছেন মানবজাতিকে - যেমনটা করেছিলেন তার আগে আসা নবিরাও।
আব্রাহামিক ধর্মের মূল কথা হচ্ছে একেশ্বরবাদ - যিশুখ্রিস্ট নিজে সেটিই প্রচার করেছিলেন - তবে শেষ পর্যন্ত খ্রিস্টান ধর্ম কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ে 'ট্রিনিটি' নামে একটি বিশ্বাসের ওপর - যেখানে যিশুকে মনে করা হয় ঈশ্বরের পুত্র। যেহেতু আব্রাহামিক ধর্মের কোর কনসেপ্টই ছিল এমন যে ঈশ্বরের কোনো সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে না - সে কারণে এমন অভিনব বিশ্বাস খ্রিস্টানদেরকে বাকি দুটো আব্রাহামিক ধর্ম থেকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে নেয়।
ইহুদিদের সাথে মুসলমানদের দ্বন্দ্বের প্রধান জায়গাটি হচ্ছে শেষ নবি সংক্রান্ত। ইহুদিরা সবসময় বিশ্বাস করতো - বনি ইসরায়েল হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত জাতি - সবচেয়ে প্রিয় বংশ। সে কারণে শেষ নবিও আসবেন এই বংশ থেকেই। অন্যদিকে মুসলমানরা বিশ্বাস করে - বনি ইসরায়েলের বিদ্রোহ আর বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিয়েছেন - নবুয়তের মতো অমূল্য সম্পদ তাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন - আর শেষ নবি মুহাম্মাদকে পাঠিয়েছেন বনি ইসমায়েল বংশে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন, আর যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন।
মুসলমানরা তাই মুহাম্মাদকে শেষ নবি হিসেবে মেনে নিলেও ইহুদিরা তাকে মেনে নিতে পারেনি। একই ভাবে খ্রিস্টানরা (এবং মুসলিমরা) যিশুকে নবি হিসেবে মেনে নিলেও ইহুদিরা তাকে গ্রহণ করেনি - কারণ যিশুর কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক শক্তি ছিল না। যিশু এবং মুহাম্মাদ - দুজনকেই তাই ইহুদিরা ভণ্ড মসীহ বা False Messiah মনে করে। আজও তারা সেই ব্যক্তির অপেক্ষা করছে - যিনি বনি ইসরায়েলকে দুনিয়ার বুকে শ্রেষ্ঠত্ব এনে দেবেন। যিনি হবেন ইসরায়েলের প্রতিশ্রুত মসীহ - The Promised Messiah.
তবে এসব ভিন্নতা থাকার পরেও, তিনটে ধর্মই এসেছে আব্রাহামের বংশধরদের থেকে - তিনটে ধর্মই দাঁড়িয়ে আছে এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, নবি ও নাজিলকৃত কিতাবের ওপর বিশ্বাস এবং মৃত্যু পরবর্তী জান্নাত ও জাহান্নামের ওপর বিশ্বাসের অভিন্ন গ্রাউন্ডে।
আর এভাবেই - একেবারে আলাদা তিনটি ধর্ম হওয়া সত্ত্বেও - জুডাইজম, ক্রিশ্চানিটি আর ইসলাম একে অন্যের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত!
إرسال تعليق